ভিক্ষাবৃত্তির অভিযোগে বিভিন্ন দেশ থেকে ৫১ হাজারের বেশি পাকিস্তানিকে ফেরত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভিক্ষাবৃত্তি ও অবৈধ অভিবাসনের অভিযোগে চলতি বছরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ৫১ হাজারের বেশি পাকিস্তানি নাগরিককে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) এই তথ্য জানিয়েছে।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের (এনএ) প্রবাসী ও মানবাধিকার বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে এসব তথ্য উপস্থাপন করেন এফআইএর মহাপরিচালক রিফাত মুখতার রাজা।
এফআইএ জানায়, ভিক্ষাবৃত্তির অভিযোগে সবচেয়ে বেশি পাকিস্তানিকে ফেরত পাঠিয়েছে সৌদি আরব। দেশটি থেকে প্রায় ২৪ হাজার পাকিস্তানি নাগরিককে দেশে পাঠানো হয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), যেখান থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে প্রায় ৬ হাজার পাকিস্তানিকে। তৃতীয় স্থানে রয়েছে আজারবাইজান, যেখানে ভিক্ষাবৃত্তির অভিযোগে ২ হাজার ৫০০ জন পাকিস্তানির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এফআইএর মহাপরিচালক জানান, অনেক পাকিস্তানি নাগরিক ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে গিয়ে সেখান থেকে ইউরোপে অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এমন অপচেষ্টার অভিযোগে তাদের আটক করে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে ২৪ হাজার পাকিস্তানি পর্যটক ভিসায় কম্বোডিয়া সফর করেন। তবে এর মধ্যে ১২ হাজার জন আর দেশে ফেরেননি। একইভাবে, পর্যটক ভিসায় ৪ হাজার পাকিস্তানি মিয়ানমারে গেলেও তাদের মধ্যে ২ হাজার ৫০০ জন ফেরত আসেননি।
এফআইএ আরও জানায়, কঠোর নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপের ফলে পাকিস্তানের পাসপোর্টের বৈশ্বিক অবস্থান উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে। আগে যেখানে পাকিস্তানের পাসপোর্টের র্যাঙ্কিং ছিল ১১৮তম, বর্তমানে তা ৯২তম স্থানে উঠে এসেছে।
এ ছাড়া সংস্থাটি জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তান থেকে অবৈধ অভিবাসনের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। গত বছর যেখানে অবৈধভাবে ইউরোপে প্রবেশ করা পাকিস্তানির সংখ্যা ছিল প্রায় ৮ হাজার, চলতি বছরে তা কমে ৪ হাজারে নেমে এসেছে। ফলে এ বছর পাকিস্তান আর অবৈধ অভিবাসনে শীর্ষ পাঁচ দেশের তালিকায় নেই।